অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা - ছাল খাওয়ার নিয়ম

অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা এবং ছাল খাওয়ার নিয়ম আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। অর্জুন হলো বহুল পরিচিত একটি ঔষধি গাছ। ঔষধি কোন গাছের কথা বললেই উঠে আসে অর্জুন গাছের নাম। এই গাছের ছাল, পাতা এবং ফল বিভিন্ন রোগের জন্য ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা - ছাল খাওয়র নিয়ম

এছাড়াও রয়েছে এই গাছের হাজারো উপকারী দিকসমূহ। আপনি আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন অর্জুন গাছের ছালের বিভিন্ন উপকারিতা অপকারিতা এবং ব্যবহার বিধি ।
পোষ্ট সূচীপত্র - অর্জুন ছালের রসের উপকারিতা

অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা

অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা আমরা অনেকেই ভালোভাবে জানি। অর্জুন গাছ আমাদের অনেকেরই খুব পরিচিত আবার অনেকই এই গাছটি চিনি না। অর্জুন গাছ এবং এর পাতা অনেকটা পেয়ারা গাছের পাতার মতোই কিন্তু গাছআকারে অনেক বড় হয়। এই গাছের ফল গুলা দেখতে হুবহু কামরাঙ্গার মত হয়।

বিশেষ করে অর্জুন গাছ বড় বড় রাস্তার পাশে বেশি দেখা যায়। অর্জুন গাছের হাজারো ঔষধি গুন রয়েছে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে অর্জুন গাছের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক অর্জুন গাছের বিভিন্ন উপকারিতা এবং অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে।
  • শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অর্জুনের ছাল অনেক বেশি কাজে দেয়।
  • আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে অর্জুনের ছাল ব্যবহার করা হয়।
  • শুকনা বা খুসখুসে কাশি দূর করতে অর্জুনের ছাল ব্যবহার করা হয়।
  • ডায়াবেটিস বা মধুমেহর (সুগার) এর মাত্রা কমাতে যা অর্জুনের ছালের রস ভালো কাজে দেয়।
  • এছাড়াও অর্জুনের ছালের রস আমাদের ত্বকের জন্য বেশি উপকারী।
  • প্রসার জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অর্জুনের ছাল খুব উপকারী।
চলুন এখন জেনে নেয়া যাক অর্জুন গাছের ছালের আরো বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

শুকনা কাশি কমাতে অর্জুন ছালের ব্যবহার

প্রাচীনকাল থেকেই অর্জুন গাছের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন রোগের ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে গাছের ছালের রস বা শুকনো ছালের গুড়া। এছাড়াও পাতার রস এবং এর ফল বিভিন্ন রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়।

আমাদের অনেক সময় খুব বিরক্তিকর শুকনা কাশি হয়ে থাকে। এর জন্যও খুব উপকারী একটি জিনিস হচ্ছে অর্জুন গাছ। এই কাজে ব্যবহারের জন্য আপনাকে প্রথমে অর্জুন গাছের ছালকে বসাক পাতার সাথে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হবে এবং যখনই সমস্যাটি দেখা দিবে তখন সেই গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে সমস্যাটির নির্মূলতা দেখা দিবে। 

হৃদরোগ প্রতিরোধে অর্জুনের ছালের ব্যবহার

বর্তমানে আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং খাবারের অনিয়মের কারণে আমরা নানান জটিল ও কঠিন রোগের সম্মুখীন হচ্ছি। এরমধ্যে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাগুলো অন্যতম। প্রায় প্রতিটা পরিবারেই দেখা মেলে হার্টের সমস্যা সংক্রান্ত রোগীর। দিন দিন বেড়েই চলেছে এরকম রোগীর সংখ্যা । তাই খুব সহজেই এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করতে পারেন অর্জুন গাছের ছাল।

আমরা অনেকেই জানি যে, অর্জুনের ছাল হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের হৃদ যন্ত্র যে কার্ডিয়াক পেশী দ্বারা গঠিত, অর্জুনের ছাল সেই কার্ডিয়াক পেশিকে শক্তিশালী করে ফলে রক্তের চলাচল শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে আমাদের হৃদযন্ত্রের ব্লকেজের আশঙ্কা কমে যায়। যার জন্য আমরা হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের হাত থেকে মুক্তি পাই। 

তাই অর্জুনের ছালের রস বা ছাল শুকিয়ে গুড়া করে দুধের সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার সকালে ও রাতে খেতে পারে। 

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অর্জুনের ছালের ব্যবহার

অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা যদি আমরা জেনে থাকি তাহলে আমরা এই উপকারিতা অনেক কাজে লাগাতে পারবো। সেই সাথে আমাদের জানা দরকার ছাল খাবার নিয়ম। অনেক সময় আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হাতের কাছে থাকা সত্ত্বেও আমরা তার সঠিক ব্যবহার করতে পারি না।

বিশেষজ্ঞদের মতে অর্জুনের ছাল আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে। অর্জুনের ছাল আমাদের রক্তে থাকা কোলেস্টেরল বা লিপিডের পরিমাণ  হ্রাস করে। ফলে রক্ত চলাচলের জন্য যেই বাধা থাকে তা হ্রাস পায় এবং বদ্ধ ধমনী খুলে যায় , যার ফলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। 

তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা আছে তারা যদি অর্জুন গাছের ছাল নিয়মিতভাবে ব্যবহার করেন বা সেবন করেন তাহলে আপনারা খুব সহজেই ‌ এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।

ত্বকের পরিচর্যায় অর্জুন গাছের ছালের ব্যবহার

আমরা অনেকেই আছি, যারা নিজেদের ত্বকের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করি। আমরা সবাই চাই যে আমাদের ত্বক সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠুক। সেজন্য আমরা কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা অনেক ক্রিম বা বিভিন্ন কসমেটিকস ব্যবহার করে থাকি। কারণ আমাদের ত্বক হচ্ছে ব্যক্তিগত সৌন্দর্যের একটি প্রধান বিষয়।

আমরা অনেকেই জানি না যে, অর্জুন গাছের ছাল আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারে আমাদের ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা লাভ করে। এছাড়াও একে মধুর সাথে মিশিয়ে ব্রনের উপর ব্যবহার করলেও এটি খুব ভালো কাজ করে। 

তাছাড়া এই ছাল, বাদাম, হলুদ এবং কর্পূরের সাথে সমপরিমানে মিশ্রণ করে ত্বকের উপর ব্যবহার করলে মেস্তার দাগ সহ ত্বকের সমস্ত দাগ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বককে আরো বেশি উজ্জ্বলতা দান করবে।

হজম শক্তি বাড়াতে অর্জুনের ছালের উপকারিতা

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই এই সমস্যাটির সম্মুখীন হয়ে থাকি। যার কারনে গ্যাস পেট ব্যথা ইত্যাদি এমন অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার প্রতিকারের জন্য আমরা অর্জুনের ছাল ব্যবহার করতে পারি। যার জন্য আমাদের অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ারও নিয়ম সম্পর্কেও জানতে হবে।

অর্জুনের ছাল আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া সমূহকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে পানি হালকা গরম করে তার সাথে অর্জুনের ছালের গুড়া মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাবেন ।

ডায়াবেটিস  (সুগার) উপশমে অর্জুনের ছাল

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটা পরিবারেই কমবেশি এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোক বিদ্যমান । এটি একটি খুব মারাত্মক ব্যাধি । যা আমাদের রক্তে শর্করা পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সৃষ্টি হয় এবং আমাদেরকে ধীরে ধীরে জটিল ও কঠিন রোগ সহ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় । তাই এখান থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে আমরা অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারি ।

আমরা অনেকেই হয়তোবা জানিনা যে অর্জুন গাছের ছাল এই ব্যাধির জন্য বেশ উপকারী । অর্জুন গাছের ছাল আমাদের রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখে । এর জন্য যদি আপনি অর্জুন গাছের ছালের সাথে জাম বীজের গুড়া সম পরিমাণে মিশ্রণ করে নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে উষ্ণ গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করেন তাহলে এই ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজে পাবেন । 

মেদ বা পেটের চর্বি কমাতে অর্জুনের ছাল

পুরুষ বা নারী যেকোনো মানুষের যে কোন বয়সে আমাদের এই সমস্যাটি দেখা যায়। এই মেদ বা পেটের চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর একটি বিষয়। মেদ নিয়ে সমস্যা জনিত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই এ সমস্যার সমাধান হিসেবে আপনি অর্জুনের ছালের গুড়া নিয়মিত ব্যবহার করে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

এর জন্য আপনি যদি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা অর্জুন গাছের ছালের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করেন, তাহলে আপনি এর ফল হাতে নাতে পাবেন। যদি আপনি এক মাস নিয়মিত এইভাবে সেবন করতে থাকেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন ।

চুলের উন্নতিতে অর্জুন ছালের ব্যবহার

সুন্দর চুল মানুষের ব্যক্তিগত সৌন্দর্যের একটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । তাই সুন্দর কালো ও মজবুত চুল সবারই খুব পছন্দের । কিন্তু বর্তমানে অনেক নারী পুরুষই এই চুল অল্প বয়সে উঠে যাওয়া বা পেকে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন । এই সমস্যার সমাধান হিসেবেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই অর্জুন গাছের ছাল।

এর জন্য অর্জুন গাছের ছালের গুড়ার সাথে হেনার মিশ্রণ একত্রিত করে ব্যবহার করলে চুল সাদা থেকে কালো হয় । তাছাড়াও অর্জুন গাছের ছাল চুলকে শক্ত মজবুত ও দ্রুত বর্ধনশীল করে তোলে ।

প্রস্রাব জনিত সমস্যার সমাধান হিসেবে

আমাদের অনেক সময়েই প্রসাব জনিত সমস্যা বা প্রসাবে বাধা সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে আমরা ঘরোয়া ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। একটু যদি আমরা চোখ কান খোলা রেখে কাজ করি তাহলে আমরা এসব সমস্যার হাত থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারি। চলুন তাহলে জানা যাক প্রসাব  জনিত সংসার সমাধান হিসেবে কিভাবে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারি।

এ সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা অর্জুন গাছের ছালের রস বা ছাল সিদ্ধ করে ব্যবহার করতে পারি। এর জন্য প্রথমে অর্জুন ছাল পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর সেই পানি পান করলেই এই সমস্যার হাত থেকে  সমাধান পাওয়া যাবে।

আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জুন ছালের ব্যবহার

অর্জুন গাছের ছালের গুনাগুন নিয়ে কথা বলতে লাগলে এর হাজার হাজার উপকারিতা আসতেই থাকবে।আমরা আরো অনেক ক্ষেত্রে অর্জুনের ছাল ব্যবহার করতে পারি । যেমন অর্জুনের ছাল ব্যবহার করে আপনি আপনার মুখের ফোস্কা দূর করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অর্জুনের ছালের চূর্ণ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ফোস্কার ওপর প্রলেপ দিলে ভালো হয়ে যাবে।

তাছাড়া এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে আপনি জ্বরের হাত থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। সেজন্য আপনাকে মিশ্রণটি গুড়ের সাথে মিশিয়ে সেবন করতে হবে। তাহলে খুব সহজেই আপনি জ্বরের হাত থেকে রেহাই পাবেন।

অর্জুনের ছাল খাওয়ার নিয়ম ও বিভিন্ন সহযোগ

আমরা উপরে সব কিছুর সাথেই দেখলাম অর্জুনের ছাল কখন কিভাবে সেবন করতে হবে। আমরা অনেকভাবে এই ছাল ব্যবহার বা সেবন করতে পারি। তাহলে এখন আমাদের সেই সম্পর্কে জেনে নিতে হবে কিভাবে আমরা এই ছাল ব্যবহার করব। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

অর্জুনের ছালের ব্যবহারের সবচাইতে বেশি যে নিয়মগুলা দেখা যায় তা হচ্ছে অর্জুনের ছালকে পানিতে ভিজিয়ে আরেকটি হচ্ছে প্রথমে ছাল রোদে শুকিয়ে তারপর সেই ছাল গুড়া করে নিয়ে। ছাল ভেজানো পানি পান করে উপকৃত হওয়া যায়। আরেকটি হচ্ছে ছালের গুড়া নিয়মিত সকাল ও রাতে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। 

এইভাবে আপনি অর্জুন গাছের ছাল নিয়মিত ব্যবহার বা সেবন করতে পারেন। অর্জুনের ছাল আমরা অনেক কিছুর সহযোগে সেবন বা ব্যবহার করে থাকি যেমন ‌- মধু , মিশ্রি , গুড় , হলুদ , বাদাম , কর্পূর ইত্যাদি । 

অর্জুন ছালের অপকারিতা বা সতর্কতা

আমরা জানি প্রতিটা জিনিসেরই  উপকারিতা থাকার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও থাকে। অর্জুন গাছের ছালের ও তেমন কিছু অপকারিতা বা সতর্কতা রয়েছে। এজন্য আমাদের অবশ্যই সে সম্পর্কে জানতে হবে। অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাহলে এখন চলুন জেনে নেয়া যাক অর্জুন ছালের কি কি অপকারিতা আছে সম্পর্কে।
  • বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত । কারণ অর্জুনের ছাল গর্ভবতী মহিলাদের ভ্রুনের ক্ষতি করতে পারে । তাই গর্ভবতী মহিলাদের অর্জুনের ছাল ব্যবহারে সতর্কতা বা ব্যবহার না করাই ভালো হবে । 
  • সুগার বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অর্জুনের ছাল যথেষ্ট সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচিত ।
  • অর্জুনের ছাল ব্যবহার বা সেবনের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয় ।
  • অনেক সময় অর্জুনের ছাল সেবনের ফলে আমাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে । 
  • অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করার পাশাপাশি অর্জুনের ছাল সেবন করলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে । তাই অন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করার সময় অর্জুনের ছাল সেবন করতে চাইলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।

পরিশেষে

অনেক সময় অনেক সমস্যার সমাধান আমাদের হাতের নাগালেই থাকে। কিন্তু সে সম্পর্কে আমাদের জানা থাকে না। যেমন অর্জুন গাছের ছালের হাজারো উপকারিতা রয়েছে। এ সম্পর্কে যদি আমরা জানি তাহলে তার সঠিক ব্যবহার করতে পারব। তাই এ সম্পর্কে আমার পক্ষের যতটুকু সম্ভব আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করলাম।

অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আশা করি পোস্টটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং শেয়ার করুন ।পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url