গর্ভাবস্থায় কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই পোস্ট আপনার জন্য। এই পোস্টে থাকছে গর্ভকালীন সময়ে কলার থোড় ও মোচার উপকারিতা  নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

গর্ভাবস্থায় কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা
তাই আপনি যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। এ পোস্টে গর্ভাবস্থায় কলার থোড় ও মোচা খেলে কি হয়, উপকারিতা অপকারিতা এবং খাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব ।

এক নজরে এই পোষ্টের সূচীপত্র

গর্ভাবস্থায় কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন

কলার মোচা এবং থোড় আমাদের অনেকেরই খুব পছন্দের একটি খাবার। কলার মোচা এবং থোড় কলার মতই রান্না করে খুব খাওয়া যায়। মেয়েদের গর্ভাবস্থা তাদের কাছে খুব আনন্দময় একটি সময়, কিন্তু এই সময়টাতে প্রত্যেকটি মেয়ে খুব চিন্তায় থাকে তার সন্তানের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে। প্রত্যেকটি মেয়ে খুব চিন্তায় থাকে যে কিভাবে তার বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধির উন্নতি ঘটে ।

গর্ভাবস্থায় কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই উপকারিতা সমূহ। যেমন -

  • কলার মোচা ও থোড়ে থাকা ভিটামিনসমূহ পেটের বাচ্চার মস্তিষ্কের গঠন সুস্থ ও সুদৃঢ় করে তোলে।
  • কলার মোচা ও থোড়েরপ্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকায় এটি গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা বাচ্চার দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
  • শিশুর ত্বক ও চুলের গঠন ঠিক রাখে এবং ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করে তুলে।
  • পেটে থাকা অবস্থায় শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • শিশুর দৈনিক গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলার মোচা ও থোড়ে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।

গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবারের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত এবং মা ও বাচ্চার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সম্পন্ন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরী। গর্ভকালীন সময়ে কলার মোচা ও থোড় একজন মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী খাবার। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়েরই কমবেশি কলার মোচা ও থোড় খাওয়া খুবই উপকারী ।

দেখে নিন কলার থোড় ও মোচার পুষ্টিগুণ সমূহ

আমরা ফুল থেকে কলা বের হওয়া শেষ হবার পরে অবশিষ্ট একত্রে যেই ফুল গুলা মোচা আকারে থাকে তাকেই কলার মোচা বলে থাকি । এবং কলা বের হবার পরে গাছের ভেতর বরাবর যেই মজ্জাটা থাকে তাকে আমরা কলার থোড় বলে থাকি । বিভিন্ন জায়গায় কলার মোচা ও থোড় বিভিন্ন নামে পরিচিত ।

আপনারা অনেকেই কল্পনাও করতে পারবেন না যে, কলার মোচা এবং থোড়ে কি পরিমানে পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি খুবই সহজলভ্য হওয়ায় অনেকের কাছে ফেল্য বস্তু। আশা করি আজকে পোস্টটি পড়ার পরে কলার মোচা ও থোড় সম্পর্কে বিস্তারিত এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই কলার মোচা ও থোড়ের পুষ্টিগুণ সমূহ -

  • প্রথমেই বলতে গেলে কলার মোচাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন । যা গর্ভকালীন একটি মায়ের জন্য খুবই বেশি প্রয়োজনীয়। এটি মায়ের শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করে।
  • কলার থোড়ে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা গর্ভবতী একটি মায়ের শরীরের জন্য অতীব জরুরী। তাছাড়া এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইরনও থাকে। এছাড়াও আরো যত ভিটামিন থাকে তা হল - 
  • ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফসফরাস, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাট, শর্করা, পটাশিয়াম, ফাইবার, থায়ামিন ইত্যাদি আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কলার মোচা ও থোড়

চোখ আছে আমাদের অমূল্য সম্পদ । আমাদের চোখে যদি কোন ধরনের একটু সমস্যা হয় তাহলেই বুঝতে পারি চোখের মর্ম কতটা । বর্তমান সময়ে আমাদের চোখে অল্পতেই অনেক সমস্যা দেখা দেয় । আমাদের চোখে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন এ । আমরা জানি ভিটামিন এ এর কারনে রাতকানা রোগ হয় ।

বর্তমানে দেখা যায় যে আমাদের অনেক কম বয়স থেকেই চোখের নানা সমস্যা দেখা দেয় । দেখা যাই ছোট ছোট বাচ্চারা চশমা ব্যবহার করে । এই সমস্যার প্রধান কারণ হলো ভিটামিন এ এর অভাব । কলার মোচা বা থোড় ভিটামিন এ এর একটি বড় উৎস। তাই আমরা যদি নিয়মিত কলার মোচা ও থোড় খেয়ে থাকি তাহলে আমরা খুব সহজেই এরকম সমস্যার হাত থেকে দূরে থাকতে পারবো ।

এছাড়া গর্ভবতী মায়ের জন্য ভিটামিন এ খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। যা মা এবং সন্তানের চোখের খুবই উপকার করে থাকে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য কলার মোচা ও থোড় খেলে বেশ উপকারে দিবে । 

রক্তশূন্যতার প্রতিকার হিসেবে কলার মোচা

আমাদের এই সমস্যাটি অনেকেরই দেখা দেয়। রক্তশূন্যতার একটি কারণ হচ্ছে আয়রনের ঘাটতি বা হিমোগ্লোবিনের সমস্যা । আমরা আগেই বলেছি যে আয়রনের একটি বড় উৎস হচ্ছে কলার মোচা এবং থোড়। আর রক্তের মূল উপাদানই হচ্ছে হিমোগ্লোবিন । হিমোগ্লোবিনের সমস্যা দূর করতে কলার মোচা খুবই উপকারী।

রক্তশূন্যতার প্রতিকার হিসেবে কলার মোচা

এছাড়াও দেহে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে কলার মোচার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই রক্তশূন্যতা ও হিমোগ্লোবিনের সমস্যা দূর করতে আমাদের নিয়মিত কলার মোচা খাওয়া উচিত।এছাড়া বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠনে আয়রনের গুরুত্ব অনেক বেশি ।

গর্ভস্থায় মায়েদের অনেক সময় রক্ত শূন্যতা দেখা দেয় । গর্ভে থাকা একটি শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের ৭০ ভাগ কাজই হয়ে থাকে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায়। তাই রক্তশূন্যতা দূর করতে এবং শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্বাস্থ্য গঠনে উন্নতি ঘটাতে গর্ভবতী মায়েদের কলার মোচা ও থোড় খেলে অনেক বেশি উপকারে দিবে ।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কলার থোড় ও মোচা

মানুষের সৌন্দর্যের একটি বড় বিষয় হচ্ছে ত্বক। ত্বক ভালো রাখতে আইরন এবং ভিটামিন সি বিশেষ অবদান রাখে। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে কলার মোচাই প্রচুর পরিমাণে আইরন এবং ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি আমাদের ত্বককে বিশেষ এক ধরনের উজ্জ্বলতা দান করে। তাই আমাদের ত্বককে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে আমরা যদি নিয়মিত কলার মোচা খাই তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হতে পারব ।

আরো পড়ুন : অর্জুন গাছের ছালের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ বা চেহারায় বিভিন্ন দাগ দেখা যায়। অনেক সময় ব্রণ দেখা যায় যেখান থেকে কালচে দাগ দেখা দেয় আবার সময়ে সময়ে অ্যালার্জিরও কোন সমস্যা দেখা দেয়। এইসবের হাত থেকে দূরে থাকতে গর্ভাবস্থায় মায়েদের কলার মোচা খেলে বেশ উপকারে দিবে।

ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই এতে থাকা ভিটামিন সি গর্ভের শিশুরও ত্বকের খুব উপকার করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এজন্য গর্ভাবস্থায় মায়েদের খাবার তালিকায় নিয়মিত কলার মোচা ও থোড় রাখলে অনেক উপকৃত হতে পারবেন ।

কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা দূর করতে

কোষ্ঠকাঠিন্য আমাদের নিতান্তই পরিচিত একটি সমস্যা । আপনার যদি এই সমস্যাটি অনেকদিন ধরে হয়ে থাকে। এটির হাত থেকে কোনভাবে বের হতে পারছেন না তাহলে সাহায্য নিতে পারেন কলার মোচার। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের এ সমস্যাটা অনেক দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে বাঁচতে কলার মোচার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

আমরা পূর্বে জেনেছি যে, কলার মোচায় বিশেষ করে কলার থোড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকে। এই কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে রক্ষা করতে আঁশ বা ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যেকোনো সময় বা গর্ভকালীন সময় কলার মোচা খেলে এই সমস্যার হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।

এর পাশাপাশি গর্ভে থাকা সন্তানের ত্বকের ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে । তাই যারা কলার মোচা খাওয়া নিয়ে চিন্তিত তারা নিঃসন্দেহে কলার মোচা নিয়মিত খেতে পারেন । যা আপনার এবং আপনার গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য খুবই উপকারী।

পেটের গ্যাস বা আলসারজনিত সমস্যা দূর করতে

আমরা অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস বা পেটে সমস্যায় ভুগে থাকি। খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি । আপনি হয়তোবা জানেন না যে গ্যাস এবং আলসার দূর করার জন্য কলার মোচা কতটা উপকারী। তাই এ সমস্যাগুলোর খুব সহজেই সমাধানের জন্য আপনি নিয়মিত কলার মোচা খেতে পারেন।

শুধু গ্যাস নয় পেটের আরো ছোটখাট বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও কলার মোচা বেশ উপকারী। গর্ভকালীন সময়ে অনেকেই ভয় করেন যে, এ সময় কলার মোচা খাওয়া উচিত হবে কিনা বা কোন ক্ষতি হবে কিনা। এর জন্য বলতে চাই, আপনি নিঃসন্দেহে নিয়মিত কলার মোচা খেতে পারেন।

এতে করে আপনার পেটের গ্যাস সহ অন্যান্য ছোটখাট সমস্যা দূর করবে পাশাপাশি আপনার এবং আপনার গর্ভে থাকা শিশুর বেশ উপকারে দেবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলতে আপনার শরীর রোগের বিরুদ্ধে কি পরিমাণে সবল বা নির্মূলে ক্ষমতা রাখে তাকে বোঝায়। যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয় বা খুব সহজেই আপনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে আপনি কলার মোচা নিয়মিত খাওয়া শুরু করেন। কারণ এতে আছে আয়রন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, এন্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি নানা ধরনের ভিটামিন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের ছোটখাটো বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে দূরে রাখে। তাই কলার মোচা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত খাওয়া শুরু করতে পারেন। 

গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি হবে তাদের জন্য ততই মঙ্গল। এ সময় মায়েরা বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে খুব সহজেই জড়িয়ে পড়ে। তাই এসব ছোটখাটো সমস্যার হাত থেকে দূরে থাকতে গর্ভবতী মায়েদের কলার মোচা খেলে খুব সহজেই এই সমস্যার গুলোর হাত থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত কলার মোচা খেতে পারেন।

এক নজরে কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা

  • ত্বকের সৌন্দর্যতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বককে আকর্ষণীয় করে তুলে 
  • ত্বকের বিভিন্ন দাগ যেমন ব্রণ, মেছতা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে
  • দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে
  • রক্তশূন্যতা দূর করে , রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হিমোগ্লিন সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • গ্যাস বা আলসার জনিত সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে এবং পেটের অন্যান্য ছোটখাটো সমস্যার হাত থেকে দূরে রাখে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে মুক্তি দেয়।
  • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলকে শক্ত, মজবুত, ঘন ও আকর্ষণীয় করে তোলে
  • কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণ শর্করা ও প্রোটিন থাকায় শরীরে শর্করা ও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
  • গর্ভবতী মায়েদের গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে।
  • হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ছোটখাটো বিভিন্ন রোগের হাত থেকে দূরে রাখে এবং শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

কলার মোচার আরো বিভিন্ন উপকারিতা

  • কলার মোচায় আয়রনের সাথে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম আয়োডিন ইত্যাদ । গলগন্ড রোগ নিরাময়ের জন্য আয়োডিন  বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 
  • কলার মতই থাকা ভিটামিন সি দাঁতের জন্য খুব উপকারী। দাঁত কে শক্ত ও মজবুত করে তুলে।
  • মেনোপোজ বা একটি নির্দিষ্ট বয়স সীমার পর পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় শক্ত ও মজবুত করতে কলার মোচা খুবই উপকারী। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু, বয়স্ক নারী-পুরুষ এবং যারা কায়িক পরিশ্রম করে তাদের জন্য কলার মোচা ও থোড় অনেক বেশি উপকারী।

  • আমরা অনেক সময় ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগি। যেমন - গলা ব্যথা বা কাশি। কালার মাথায় থাকা ভিটামিন সি আমাদের এই গলা ব্যথা বা কাশির হাত থেকে দূরে রাখতে পারে। তাই এ সমস্যাগুলোর হাত থেকে বাঁচতে আমরা নিয়মিত কলার মোচা খেতে পারি । পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় ও এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
  • আমরা জানি ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। এতে থাকা ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে । গর্ভাবস্থায়ও আমরা এই সুবিধা গুলো পেতে পারি।
  • কলার মোচা মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণ মায়েদেরকে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য কলার মোচা খাওয়ার উপদেশ দেন।
  • গর্ভাবস্থায় মায়েদের একটি সাধারণ সমস্যা দেখা যায় সেটি হচ্ছে রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। কলার মোচা রক্ত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

কলার মোচার অপকারিতা জেনে নিন

যদিও কলার মোচা ও থোড়ের তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে ছোটখাটো কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলো হচ্ছে, যেমন -
  • আমরা জানি কলার মোচা ও থোড় প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। একসাথে যদি খুব বেশী পরিমাণে খেয়ে ফেলি তাহলে গ্যাস্ট্রিক বা পেট ব্যথা হতে পারে । তাই এটি পরিমাণ মতো নিয়মিত খাওয়া উচিত।
  • যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে তাদের এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কেননা কলার মোচাতে থাকে  ফেনোলিক এসিড যা এলার্জিজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, গর্ভাবস্থায় কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের আজকের এই পোস্টে  বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, আমাদের পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন । আপনারা অনেকেই আগে জানতেননা যে, কলার মোচা ও থোড়ে কি পরিমানে ভিটামিন ও পুষ্টিকর উপাদান থাকে।

আপনারা অনেকেই আছেন যাদের কলার মোচা এবং ও থোড় অনেক প্রিয় খাবার। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই আপনারা যারা কলার মোচা ও থোড় থেকে যথাযথ উপকার গ্রহণ করতে চান তারা অবশ্যই নিয়মিত কলার মোচা ও থোড় খাবেন। এতে করে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

পরিশেষে আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন। আপনাদের মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url