ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম - ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। যেহেতু ড্রাগন একটি বাইরের দেশের ফল তাই অনেকেই এই ফলটি কিভাবে খাবেন তা বুঝতে পারেন না। ড্রাগন অনেকেরই খুব পছন্দের একটি ফল।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

তাই আজকে আপনাদের সাথে আজকে এ বিষয়ের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা এবং ড্রাগন ফল সম্পর্কে আরো কিছু বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে  শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্র - যেখান থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম কি ড্রাগন ফল কিভাবে খায় 

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম জানার আগে আপনাদের অবশ্য জানা দরকার যে ড্রাগন ফল আপনি কি জন্য খাবেন বা ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনার আগে জানা দরকার। যেহেতু আপনারা ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাই আগে আপনাদের ড্রাগন ফল কিভাবে খায় সে সম্পর্কে বলব।

ড্রাগন হচ্ছে একটি বৈদেশিক ফল। কিন্তু বর্তমানে এত জনপ্রিয়তার কারণে ড্রাগন ফল বর্তমানে আমাদের দেশেও বাণিজ্যিকভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাষাবাদ হচ্ছে। তাই আমাদের দেশে সর্বত্র জুড়েই  বারো মাসই  এই ড্রাগন ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল অনেকের কাছেই অনেক পছন্দের আবার অনেকেই এড়িয়ে চলেন।

আরো পড়ুন : জয়তুন ফলের উপকারিতা

ড্রাগন ফল খাওয়ার আলাদা তেমন কোন নিয়ম নেই বা এটি কঠিন কোন কাজ নয়। প্রথমেই আপনাকে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে এবং ফলটি ব্লেন্ডারে করে ব্লেন্ড করে নিয়ে জুস হিসেবে খেতে পারেন অথবা আপনি এটি সালাদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া আপনি এর খোসা ছাড়িয়ে সরাসরি সাধারণ ফলের মত কেটে খেতে পারেন।

তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা ভালো যে, ড্রাগন ফল রান্না করে না খাওয়াই ভালো কারণ তাপে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাই। তাই আপনি খুব সহজেই আপনার ইচ্ছেমতো ড্রাগন ফল যেভাবে খুশি খেতে পারেন। এটি খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এবার চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিছু তথ্য।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ড্রাগন ফল কেন খাবেন

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি আপনার এটা জানার জরুরি যে ড্রাগন ফল আপনি কেন খাবেন। এটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী বা এটি আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে। এ বিষয়গুলো আপনার অবশ্য জেনে রাখা ভালো। তাহলে চলুন জেনে নেই ড্রাগন ফল আমরা কেনই বা খাবো। এতে কি কি উপকারিতা রয়েছে ? 

  • ড্রাগন একটি আঁশ জাতীয় ফল যা আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং রক্তের অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয়।
  • ড্রাগন ফল আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে এবং ডায়াবেটিসের হাত থেকে দূরে রাখে পাশাপাশি এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের বিভিন্ন ছোটখাট সমস্যা দূর করে থাকে।
  • ড্রাগন ফলে লাইকোপেন উপস্থিত থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
  • দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় কারণ এতে ক্যারোটিন থাকে।
  • ড্রাগন ফলে ৫০টি পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • বিশেষ করে নারীদের জন্য এই ফলটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় ও দাঁতের উন্নতি সাধন করে।
  • এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের উন্নতি সাধন করে এবং ত্বকের উপর থেকে বলি রেখা দূর করে। পাশাপাশি চুলেরও উন্নতি ঘটায়।
  • এই ফলে পর্যাপ্ত আয়রন থাকায় রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটে যা মহিলা এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ওপরে বর্ণিত বিষয়গুলো আশা করি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তো বিষয়গুলো জানার পরে এখন আপনি বুঝতে পারছেন যে ড্রাগন ফল আপনি কেন খাবেন। এর উপকারিতা সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। চলুন তাহলে এখন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এতক্ষণে জানলেন। আপনারা অনেকে আবার ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে চান। যদিও সকালবেলা কে ফল খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তবে ফল রাতেও খাওয়া যেতে পারে। ফল খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে দুইটি আহারের মধ্যবর্তী সময়।

কেননা ফলে যে সরল শর্করা থাকে তার শোষণ করার জন্য পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই ভোরবেলা খালি পেটে বা দুটি আহারের মধ্যবর্তী সময়ে ফল খেলে এটি আমাদের শরীরের জন্য বেশি কার্যকরী হয়। কারণ এই সময় আমাদের পরিপাকতন্ত্রে থাকা এনজাইম দ্রুত কাজ করে থাকে। রাতের বেলা ফল খেলে এটি ভালো ঘুমের জন্য সাহায্য করে।

ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি ড্রাগন ফলের দাম ২০২৪

ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি বা ড্রাগন ফলের দাম কেমন এটি আপনারা অনেকে জানতে চান। ড্রাগন হচ্ছে একটি বহির দেশের ফল। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে। তবুও চাহিদা মেটানোর জন্য ড্রাগন ফল আমাদের দেশে আমদানি করা হয়। ড্রাগন ফল খুব সুস্বাদু এবং অনেকের কাছে খুব প্রিয় একটি ফল। জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে।

ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি

ড্রাগন ফলের দাম নির্ভর করে ফলের কোয়ালিটির ওপর। যেহেতু এই ফল বাহিরে দেশ থেকেও আমদানি করা হয় সেহেতু এই ফলটির দাম একটু বেশি। আপনি যদি সাধারণ কোয়ালিটির ড্রাগন ফল কিনতে চান তাহলে এর দাম পড়বে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। আর যদি ভালো কোয়ালিটির ড্রাগন ফল নিতে চান তাহলে এর দাম দাঁড়াবে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

তবে স্থানভেদে দামের একটু কম বেশি হতে পারে। কারণ আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ করা হচ্ছে। 

ড্রাগন ফল কাটার নিয়ম

দেখতে খুব সুন্দর টকটকে লাল একটি ফল হচ্ছে ড্রাগন। এই ফলের সাথে যারা নতুন পরিচিত তারা ভাবতে পারেন যে এই ফলটি কিভাবে কাটবো। প্রথম অবস্থায় দেখে বুঝতে নাও পারতে পারেন যে ড্রাগন ফল আসলে কিভাবে কাটে। এই ফল কাটা একদম সহজ একটি কাজ। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফল কিভাবে কাটতে হয়।

প্রথমে আপনাকে ফলটি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর আপেল কাটার মত করে মাঝখান বরাবর কাটতে হবে। মাঝখান বরাবর কাটার পর এর খোসা ছাড়িয়ে আপনি সরাসরি খেতে পারেন বা জুস বা সালাদ আপনার যেভাবে মন চায় খেতে পারেন।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা জানলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। এতক্ষণ আপনারা ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন। সেখান থেকে জানতে পারলেন যে ড্রাগন খুব পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল। আরো দেখলেন যে ড্রাগন ফল কতটা উপকারী। শুধু ড্রাগন ফলই নয় এর যে খোসার উপকারিতা গুলো রয়েছে তা সত্যিই অবাক করার মত।

আমরা সবাই ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে এর খোসা গুলো ফেলে দিই। কিন্তু আপনি যদি ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা গুলো জানেন তাহলে আপনি আর এ কাজটি করবেন না। তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নিই ড্রাগন ফলের খোসার কি কি উপকারিতা রয়েছে। 

ড্রাগন ফলের খোসার পুষ্টিগুণ সমূহ

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সহজ ভাবে বোঝার জন্য আপনার আগে ড্রাগন ফলের খোসাতে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে তা সম্পর্কে জানতে হবে। ড্রাগন যেমন একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল ঠিক এর খোসাও তেমন পুষ্টিকর এবং উপকারী একটি জিনিস। ড্রাগন ফলের খোসাতে রয়েছে -

ভিটামিন এ

ভিটামিন বি

ভিটামিন সি

ভিটামিন কে

ভিটামিন বি ৬

প্রোটিন

ফাইবার

পটাশিয়াম

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

থায়ামিন

গ্লুটামিন ইত্যাদি

কি ? ড্রাগন ফলের খোশার পুষ্টিগুণ সমূহ দেখে অবাক হয়ে গেলেন ? আসলে অবাক হবারই মত। উক্ত পুষ্টিগুণগুলো আমাদের শরীরে অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই যদি আমরা এই পুষ্টিগুণ গুলো গ্রহণ করতে চাই তাহলে আমাদেরকে এই ফলের খোসার সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। তবেই আমরা এর উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে পারবো। এখন তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা গুলো।

হার্ট এর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ড্রাগন ফলের খোসা

হার্ট বা হৃদপিণ্ড আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যার চলাচলের মাধ্যমেই আমরা বেঁচে থাকি। এক কথায় এই হৃদপিণ্ডকেই আমাদের জীবন বলা যায়। তাই একে সুস্থ রাখার গুরুত্ব কতটা বুঝতেই পারছেন। এর অসুস্থতার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের মরণব্যাধি যেমন হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলর এর সম্মুখীন হয়। তাই হার্টের সুস্থতা একান্ত ভাবে জরুরী।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

তাহলে আমরা এখন বলতে পারি হার্টের যত্ন বা সুস্থ রাখবো কিভাবে। এর জন্য আপনি ড্রাগনফলের খোসার উপকারিতা গ্রহণ করতে পারেন। ড্রাগন ফলের খোসাতে পটাশিয়াম থাকে যা হার্টকে সুস্থ ও সবল করে তুলে। তাই আপনি ড্রাগন ফলের খোসার জুস বানিয়ে তা নিয়মিত পান করতে পারেন। এতে করে এটি আপনার হার্ট এর জন্য অনেক উপকার করবে।

কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ড্রাগন ফলের খোসা

হার্ট এর মত কিডনিও আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের শরীর থেকে যত প্রকার বর্জ্য পদার্থগুলো নিষ্কাশন করতে হবে এর ব্যবস্থা কিডনি করে থাকে। কিডনির মাধ্যমে আমাদের শরীরে গ্রহণকিত খাবার পানি নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। যত্নের অভাবে যদি আমাদের দুটো কিডনি বিকল হয়ে যায় তাহলে আমাদের সরাসরি মরণের সম্মুখীন হতে হবে।

তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে আমাদের এ বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। ড্রাগনের ফলের খোসাতে যে পুষ্টি উপাদানগুলো থাকে তা আমাদের কিডনির জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে এই খোসা দিয়ে জুস বানিয়ে নিয়মিত পান করলে তা কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে পাশাপাশি কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে তুলবে। তাই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারে।

মুখের কালচে দাগ ও ব্রণ দূর করতে ড্রাগন ফলের খোসা

আমাদের সৌন্দর্যের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে মুখের ত্বক। আমরা প্রতিনিয়ত মুখের কালো দাগ ও ব্রণ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকে। এই বা ব্রণ বা মুখের কালো দাগ দূর করার অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে ড্রাগন ফলের খোসা। ড্রাগন ফলে যে পুষ্টি উপাদান গুলো রয়েছে তা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী।

তাই আপনি সমস্যার সমাধান পেতে ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাগন ফলের খোসা ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে তা আপনি মুখের ত্বকের উপর ব্যবহার করতে পারেন বা খোসা রোদে শুকিয়ে এর গুড়ো বানিয়ে তাও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে মুখের কালচে দাগ বা ব্রণ হ্রাস পাবে। তাই উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে চাইলে ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে এর সঠিক ব্যবহার করুন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ড্রাগন ফলের খোসা

বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে ডায়াবেটিস ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। আস্তে আস্তে এ ডায়াবেটিস মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর পথে। আমাদের দেশে এখন এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে, পরিবারে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি নেই। ডায়াবেটিসের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সময়ের জন্য বিভিন্ন রকম চিন্তা বা পেরেশানের মধ্যে থাকে।

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার বিভিন্ন রকম উপায়ের মধ্যে ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার একটি। ড্রাগন ফলের খোসায় উপস্থিত যে পুষ্টিগুণ সমূহ তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। তাই এই মরণব্যাধির হাত থেকে দূরে রাখতে যদি নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস ব্যবহার করেন তাহলে অনেকটা উপকৃত হতে পারবেন।

শুধু এই নয়। আরো অনেক অনেক উপকারিতা রয়েছে ড্রাগন ফলের খোসার। যেমন -

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে

চুলকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলে

গ্যাস বা আলসার জনিত সমস্যা দূর করে

কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে দূরে রাখে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে

ছোটখাটো বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা দূর করে

ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার বিধি

ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার করব কিভাবে এই প্রশ্নটি এখন আপনাদের মনে জাগতে পারে। ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে চাইলে আমাদের অবশ্যই এর খোসা ব্যবহার বিধি গুলো জানা উচিত। ড্রাগন ফলের খোসা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। যেমন আপনি খোসা ফল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি পান করতে পারেন।

আবার, খোসা গুলো রোদে ভালো হবে শুকিয়ে পিষে গুঁড়ো করে, সেই গুঁড়ো রূপ চর্চার জন্য ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ফ ল থেকে খোসা ছাড়িয়ে সেই খোসা সরাসরি ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে পান করতে পারেন। এটি পাটাই পিষে পেস্ট বানিয়ে ত্বকের ওপর সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন।

শেষ কথা - ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সহ ড্রাগন ফল সম্পর্কে  আপনাদের সাথে এতক্ষণে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা এতক্ষণে বুঝতে পারলেন যে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং ড্রাগন ফলের কি কি উপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি ফল যার সঠিক ব্যবহারে আমরা অনেক বেশি উপকৃত হতে পারব।

তাই এই উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে আমরা নিয়মিত ড্রাগন ফল খাবো এবং ফলের খোসার সঠিক ব্যবহার করব। আশা করি এতক্ষণে পুরা বিষয় সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারণা পেয়েছেন। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টে জানাবেন। আজকে এই পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ 😍

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url