অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা - অ্যাভোকাডো ফলের দাম
অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা সত্যিই অবাক করার মতো। অ্যাভোকাডো বৈদেশিক একটি ফল যা খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। উচ্চ ফ্যাট যুক্ত এ ফলটি বর্তমানে বাংলাদেশেও পাওয়া যায় এবং দেশের কিছু কিছু জায়গায় স্বল্প পরিসরে এর চাষাবাদও করা হচ্ছে।
আজকে আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা,
অ্যাভোকাডো ফলের দাম সহ এ ফল সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে
চলুন আর দেরি না করে শুরু করি।
পোস্ট সূচিপত্র - যেখান থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন
- অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা
- অ্যাভোকাডো ফলের দাম কত দেখে নিন
- অ্যাভোকাডো খেতে কেমন স্বাদ কেমন
- অ্যাভোকাডো কোথায় পাওয়া যায়
- অ্যাভোকাডো কিভাবে খেতে হয় খাওয়ার নিয়ম
- অ্যাভোকাডো তেলের উপকারিতা কি কি
- অ্যাভোকাডো চারার দাম কত দেখে নিন
- অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার অপকারিতা
- শেষ কথা - অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা
অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা
অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা আমাদের প্রায় সকলের কাছেই অজানা। কেননা এটি একটি
বহির দেশের ফল যার কারণে এটির সাথে আমরা খুব ভালোভাবে পরিচিত নই। পৃথিবীতে যত ফল
রয়েছে প্রত্যেকেরই একটি আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ থাকে। এই ফল গুলোর মধ্যে
অ্যাভোকাডো একটি। কৃষিবিদদের মতে অ্যাভোকাডো ফলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি
গুণ।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় : আমাদের শরীরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হচ্ছে হার্ট। আমাদের সুস্থ থাকার জন্য হার্টকে আগে সুস্থ রাখা জরুরি। দেখা যায় যে অতিরিক্ত রক্তচাপ এবং আমাদের শরীরের শিরার ব্লকেজের কারণে হৃদপিণ্ড বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর এ ধরনের সমস্যা গুলো দূর করতে অ্যাভোকাডো বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুন : রামবুটান ফলের উপকারিতা - রামবুটান ফলের দাম
আমাদের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড ও অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে শিরার মধ্যেকার ব্লকেজ
দূর করতে অ্যাভোকাডো খুব বেশি উপকারী। তাছাড়া হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন,
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতে অ্যাভোকাডো ফলের তুলনা হয় না। তাই
প্রতিদিন একটি অ্যাভোকাডো হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হ্রাস করতে পারে।
খাদ্য হজমে সাহায্য করে : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি খুব পরিচিত
সমস্যা হচ্ছে হজমজনিত সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য। একটি অ্যাভোকাডো ফলে প্রায় ১০
গ্রাম ফাইবার বা খাদ্য আঁশ থাকে। আর এই ফাইবার খাদ্য হজম করতে অনেক বেশি সাহায্য
করে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় যদি অ্যাভোকাডো রাখেন তাহলে আপনার পাক যন্ত্রে
হজম ভালো হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : আমাদের শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমে যায় তখনই আমরা বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হই। আর এই রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অ্যাভোকাডো খুবই উপকারী একটি ফল। অ্যাভোকাডো ফলে ভিটামিন
এ, ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন বি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত খাবার তালিকায় অ্যাভোকাডো
রাখতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : অ্যাভোকাডো হচ্ছে ওজন কমানোর জন্য একটি চমৎকার খাবার। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন খাবারের সাথে কেউ যদি অ্যাভোকাডো খাই তাহলে সে ২৩% বেশি তৃপ্তি পায় এবং খাবার খাওয়ার পরবর্তী পাঁচ ঘন্টা যারা খায় না তাদের চেয়ে ২৮% কম ক্ষুধা অনুভব করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ওজন কমাতে বা ডায়েট কন্ট্রোল করতে অ্যাভোকাডো কতটা উপকারী একটি ফল।
ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে : ক্যান্সারের নাম শুনলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে
যায়। যার সাথে আমরা সবাই মরণব্যাধি হিসেবেই পরিচিত। নিয়মিত অ্যাভোকাডো ফল
খাওয়ার ফলে আমরা অল্প অল্প করে ক্যান্সারের হাত থেকেও দূরে সরে থাকতে পারি। অ্যাভোকাডোতে যে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও খনিজ রয়েছে তা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে খুব
বেশি উপকারী। তাই ক্যান্সারের হাত থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত অ্যাভোকাডো খাবার
তালিকা রাখতে পারেন।
কলার চাইতেও বেশি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ : পটাশিয়াম এমন একটি পুষ্টি
উপাদান যা আমরা বেশিরভাগ মানুষই পর্যাপ্ত পরিমাণে পাই না। আমরা জানি কলাতে অনেক
বেশি পটাশিয়াম থাকে। কিন্তু একটি অ্যাভোকাডো ফলে একটি কলার চাইতেও অনেক বেশি
পটাশিয়াম থাকে। আর এই পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
একটি কলাতে ১০% পটাশিয়াম থাকে যেখানে একটি অ্যাভোকাডোতে থাকে ১৪%।
চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে : আমাদের রূপচর্চার মধ্যে ত্বক এবং চুল এ দুটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য দৈনন্দিন যে প্রসাধনীগুলো ব্যবহার করি তার প্রতিটিতেই পেন্টোথেনিক এসিড বা ভিটামিন বি ৫ থাকে। আর অ্যাভোকাডোতে পেন্টোথেনিক এসিড এর ৪৫ % আরডিএ থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অ্যাভোকাডোর উপকারিতা কত।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে : চোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ। তাই চোখের
সুস্থতা সবার আগে। অ্যাভোকাডো দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করতে অনেক বেশি উপকারী।
অ্যাভোকাডোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ক্যারোটিনয়েড থাকে, জেক্সানথিন ও
লুটেন। এই দুইটি উপাদান চোখের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। এই ক্যারোটিনয়ের
দুটি আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে যার কারণে চোখে ছানি পর্যন্ত পড়ে না।
ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে : আমরা অনেকেই আছি যারা ঘুম না হওয়া
সমস্যায় ভুগে থাকি। অ্যাভোকাডো ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এই
ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
তাই ঘুম না হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত খাবার তালিকায়
অ্যাভোকাডো রাখতে পারেন।
পুষ্টিগুণের উৎস হিসেবে কাজ করে : অ্যাভোকাডো খুব পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ
একটি ফল। আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে এতে কি পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে। প্রতি
১০০ গ্রাম অ্যাভোকাডোতে থাকে -
- ভিটামিন বি ৫ - ১৪%
- ভিটামিন বি ৬ - ১৩%
- ভিটামিন সি - ১৭%
- ভিটামিন ই - ১০%
- ভিটামিন কে - ২৬%
- ফোলেট - ২০%
- পটাশিয়াম - ১৪%
অ্যাভোকাডো ফলের দাম কত দেখে নিন
অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা দেখলেন এতক্ষণে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসে অ্যাভোকাডো ফলের দাম কত ? যেহেতু এ ফলটি বৈদেশিক একটি ফল তাছাড়া আমাদের দেশে সেভাবে চাষাবাদও হয় না তেমন সেহেতু এই ফলটির দাম একটু বেশি। আমাদের দেশে সব জায়গায় এই ফলটি পাওয়াও যায় না কিন্তু এটি খুব পুষ্টিকর একটি ফল।
আপনি যদি প্রতি কেজি অ্যাভোকাডো এর দাম জানতে চান তাহলে বলা যায়, অ্যাভোকাডো ফল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর দাম একটু কম বেশি হতে পারে। অ্যাভোকাডোতে উচ্চ ফ্যাট যুক্ত উপাদান থাকে যা ডিম্বানুর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অনেক সহায়তা করে।
অ্যাভোকাডো খেতে কেমন স্বাদ কেমন
অ্যাভোকাডো সাথে আমরা ভালোভাবে পরিচিত নই। তাই এটি সম্পর্কে জানার আমাদের আগ্রহ
বেশি থাকে। অনেকের আবার এই বিষয়টি জানার আকাঙ্ক্ষা থাকে যে অ্যাভোকাডো ফল খেতে
কেমন ? আপনাদের কি এই বিষয়টিই এখন বলবো। প্রথমে বলা যায় যে অ্যাভোকাডো
মিষ্টি জাতীয় ফল নয়। অ্যাভোকাডোতে চিনির পরিমাণ খুবই কম।
একটি মাঝারি সাইজের অ্যাভোকাডোতে চিনির পরিমাণ থাকে মাত্র ০.৯৫ গ্রাম। তাহলে খুব
সহজে বুঝতে পারছেন যে এটি অন্যান্য ফলের মতো মিষ্টি নয়। অ্যাভোকাডো ফলের
অভ্যন্তরীণে হলুদ-সবুজ বর্ণের মাংসল অংশটুকু খাওয়ার হয়। এর বিচি এবং খোসা ফেলে
দিতে হয়। উপরের গাড় সবুজ খোসা তিক্ত স্বাদের হয়ে থাকে। এ কে মাখন ফলও বলা
হয়।
আরো পড়ুন : ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম - ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
আপনি যদি একটি অ্যাভোকাডোতে কামড় দেন তাহলে এর স্বাদ আপনি অনুভব করতে পারবেন এবং
এটি ধীরে ধীরে আপনার মুখের ভেতরে গলে যাবে। মানে এটি খেতে ক্রীম বা মাখন এর
মত। এর স্বাদ হালকা কিছুটা বাদামের মত। এতে ফ্যাট এর পরিমাণ বেশি থাকে। এই ফলটি
অনেকেই খেতে অনেক পছন্দ করেন। খুবই পুষ্টিকর এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ফল।
অ্যাভোকাডো কোথায় পাওয়া যায়
মাখন ফল বা অ্যাভোকাডো হচ্ছে মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার একটি স্থানীয় উদ্ভিদ।
এটি লরেসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। ফলটির গা কুমিরের গায়ের মত অমসৃন ও
নাশপাতি আকৃতির হওয়ায় এটি কুমির নাশপাতি হিসেবেও পরিচিত। আমাদের দেশে সেই ভাবে
এই ফলটি পাওয়া যায় না। তবে বর্তমানে দেশের কয়েকটি জায়গায় খুব অল্প
সংখ্যাক চাষ হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় এর তথ্যানুসারে আমাদের সারা বাংলাদেশে মাত্র ১০ হেক্টর জমিতে
অ্যাভোকাডো চাষ করা হয়। রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং
খাগড়াছড়িতে এর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হচ্ছে। কৃষিবিদরা বিভিন্ন গবেষণার
মাধ্যমে এ চাষাবাদ বৃদ্ধি করার জন্য নিজ উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে
চাষাবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
<5pan>অ্যাভোকাডো কিভাবে খেতে হয় খাওয়ার নিয়ম5pan>
নাশপাতি আকৃতির, অমুসৃণ ত্বক মাংসল ফল অ্যাভোকাডো। অনেকেই বুঝতে পারেন না এই ফলটি কিভাবে খাবেন। যেহেতু আমরা এই ফলটির সাথে ভালোভাবে পরিচিত নই সেহেতু একটু বিড়ম্বনাই পড়াটাই স্বাভাবিক। উপরের গাড় সবুজ রং এর খোসা বাদ দিয়ে ভেতরের মাংসল হলুদ সবুজ অংশটি খেতে হয়। খোসা এবং বিচি ফেলে দিতে হয়। খেতে বাদামের স্বাদ রয়েছে।
আপনি সরাসরি খোসা তুলে মাংসল অংশটুকু খেতে পারেন। তাছাড়া এটি অনেক জায়গায় সালাদ হিসেবেও খেয়ে থাকে। তাছাড়া বিশ্বের অনেক জায়গায় এটি ডেজার্ট হিসেবেও খাওয়া হয়। এটি খেতে মাখন এর মত এবং বাদামের স্বাদ যুক্ত।
অ্যাভোকাডো তেলের উপকারিতা কি কি
এফোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অ্যাভোকাডো ফলের দাম জানার পাশাপাশি আমরা
এতক্ষণে অ্যাভোকাডো ফল সম্পর্কে অনেক কিছু ধারণা পেয়েছি। শুধুমাত্র
অ্যাভোকাডো ফল যে এত উপকারী তা কিন্তু নয়। অ্যাভোকাডোর তেলও অনেক বেশি উপকারী।
এই তেল খুবই স্বাস্থ্যকর এবং স্বাদযুক্ত খাবারের অংশ হওয়ার পাশাপাশি আমাদের
শরীরের জন্যও অনেক বেশি উপকারী।
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য এবং চুলের জন্য ও এই তেল ব্যবহার করা যায়। চলুন
তাহলে নিচে ধাপে ধাপে দেখে নিন অ্যাভোকাডো তেলের উপকারিতা গুলো -
- ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধ করে
- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
- ত্বককে মশ্চারাইজ করে
- সূর্যের UV রশি থেকে ত্বককে রক্ষা করে
- ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে
- ত্বক মসৃণ করে ও বলি রেখা দূর করে
- ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে
- চুলকে ঝলমলে ও চকচকে করে তুলে
- খুশকির কারণে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
- মাথার ত্বকে সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো চারার দাম কত দেখে নিন
বর্তমানে বাংলাদেশে অ্যাভোকাডো ভালোই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে বাংলাদেশের সেই তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যাভোকাডো চাষাবাদ এখনো শুরু হয়নি। এতক্ষণ আপনারা অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অ্যাভোকাডো ফলের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন। এখন অনেকেই অ্যাভোকাডো ফলের চারার দাম জিজ্ঞেস করেন। চলুন দেখে নেয়া যাক অ্যাভোকাডো চারার দাম কেমন।
যেহেতু বাংলাদেশের সব জায়গায় অ্যাভোকাডো চারা পাওয়া যায় না সেহেতু দেশের
বিভিন্ন জায়গায় এই চারার দাম বিভিন্ন হয়ে থাকে। কোথাও দাম দেওয়া থাকে ৩০০
থেকে ৫০০ টাকা। আবার কোথাও থাকে ৮৫০ থেকে ১২০০ এমনকি ১৫০০ টাকা পর্যন্তও থাকে।
তাই আপনি যদি অ্যাভোকাডো চারা কিনতে চান তাহলে দেখে শুনে আপনার পছন্দমত চারা
কিনতে পারেন।
অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার অপকারিতা
অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে।
তবে এর অপকারিতার পরিমাণ খুবই কম বা নেই বললেই চলে। যেকোনো কিছুই খাওয়া বা
ব্যবহারের আগে আপনি এর উপকারিতার পাশাপাশি যদি অপকারিতা গুলো না জানেন তাহলে এর
সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে আপনার পক্ষে একটু সমস্যা হতে পারে।
তাই এই ফলের উপকারিতা ছাড়াও যে অপকারী দিক থাকতে পারে তা জানতে হবে। অ্যাভোকাডোর
তেমন কোন অপকারী দিক নেই। তবে একসাথে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা
অতিরিক্ত অ্যাভোকাডো খাওয়ার ফলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এই ফল
খাওয়ার ফলে এলার্জিরও সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং এটি একটি উচ্চ ফ্যাট বিশিষ্ট
ফল।
শেষ কথা - অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা
অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা, এভোকাডো ফলের দাম সহ এতক্ষণে এ ফল
সম্পর্কে টুকিটাকি আশা করি বিস্তারিত একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। এভোকাডো
সত্যিই একটি পুষ্টিকর ঔষধি গুনসম্পন্ন সুস্বাদু একটি ফল। এ ফলের অনেক অনেক
উপকারিতা রয়েছে যে উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে চাইলে আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায়
এই ফলটি রাখা উচিত।
তবে একসাথে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং অপকারীর দিকগুলো মাথায় রাখবেন।
আমাদের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন। আর যদি অন্য
কিছু জানার আগ্রহ থাকে তাহলে তা অবশ্যই আমাদের জানাবেন। আজকে এ পর্যন্তই। আল্লাহ
হাফেজ😍
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url