বিচি কলা ও সাগর কলা খাওয়ার কার্যকরী ২৫টি উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
বিচি কলা ও সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। কিন্তু আমরা অনেকেই এ ব্যাপারে অবগত নই। কলা কতটা ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল তা আমাদের কম বেশি সকলেরই ভালোভাবে জানা আছে। কলা গুনে ও মানে একটি সুপার ফুড।
আমাদের দেশে অনেক ধরনের কলা পাওয়া যায়। তার মধ্যে বিচি কলা এবং সাগর কলা
অন্যতম। আজকের এই পোস্টে আপনাদের জন্য বিচি কলা ও সাগর কলা খাওয়ার কার্যকরী
বিভিন্ন উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম সহ বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা করব।
সূচীপত্র - বিচি কলা ও সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
- বিচি কলাতে থাকা পুষ্টিগুণ সমূহ
- বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা
- বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা
- সাগর কলাতে থাকা পুষ্টিগুণ সমূহ
- সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কলার বিচি খেলে কি হয় বিচি কলার বিচি খেলে করনীয়
- সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
- চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা
- আটিয়া কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কাঁচ কলার উপকারিতা বৈশিষ্ট্য ও খাওয়ার নিয়ম
- রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
- কলা খাওয়ার সঠিক সময়
- বিচি কলা খাওয়ার অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- কলা খেলে কি ওজন বাড়ে
- পরিশেষে - বিচি কলা ও সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
বিচি কলাতে থাকা পুষ্টিগুণ সমূহ
বিচি কলা খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। কলা আমাদের দেশের ছোট্ট শিশু থেকে বৃদ্ধ
মানুষ পর্যন্ত সকলের কাছেই খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। যার মধ্যে বিচি কলাও অন্যতম।
বিচি কলার পুষ্টিগুণ দেখলে আপনি সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন। এতে যে পুষ্টিগুণ
গুলো থাকে তা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। চলুন এক
নজরে দেখে নিই বিচি কলার পুষ্টিগুণ।
- ভিটামিন সি
- পটাশিয়াম
- ফাইবার
- কার্বোহাইড্রেট
- ম্যাগনেসিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- আয়রন
- ভিটামিন বি৬
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- প্রোটিন ইত্যাদি
দেখেছেন ? এতে কি পরিমান পুষ্টিগুণ থাকে ? এই উপাদানগুলো কিন্তু আমাদের শরীর
সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই দরকার। তাই শরীর সুস্থ রাখাতে চাইলে নিয়মিত বিচি কলা
খেতে পারেন।
বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা
বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা আপনাদেরকে এখন ধাপে ধাপে বলব। আমাদের দেশে অনেক জাতের
কলা পাওয়া যায় তার মধ্যে বিচি কলা একটু বিশেষ ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বিশেষ
করে এর বিচির জন্য। বিচি কলা বাদেও আরো কিছু কলা আছে যে কলা গুলোতে বিচি
থাকে। সেগুলো কিন্তু বিচি কলা নয়। ওই কলা গুলোর বিচি শক্ত হয় এবং খাওয়ার
অনুপযোগী।
আরো পড়ুন : কিউই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আর বিচি কলার বিচি নরম এবং খাওয়া যায়। তাই কলাতে বিচি থাকলেই সেটি
বিচি কলা ভেবে খেয়ে ভুল করবেন না। এটি একটি ঔষধি গুন সম্পন্ন কলা। আমাদের শরীরের
জন্য অনেক অনেক বেশি উপকারী। তাই চলুন আর দেরি না করে এক নজরে বিচি কলা খাওয়ার
উপকারিতা গুলো ধাপে ধাপে সুন্দর করে এক এক করে দেখে নিই।
- বিচি কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরে দ্রুত এনার্জি সরবরাহ করে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।
- বিচি কলাতে পটাশিয়াম থাকে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ফলে এটি হার্টকেও সুস্থ রাখে।
- এতে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- এই কলাতে ভিটামিন বি৬ থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মানসিক চাপ কমায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
- বিচি কলাতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
- এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে আকর্ষণীয় করে তুলে।
- এ কলাতে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরের হাড়ের সঠিক বৃদ্ধি, শক্তিশালী এবং মজবুত করে তুলে।
- নিয়মিত বিচি কলা খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রনে আসে।
- বিচি কলা ক্রিমি জাতীয় সমস্যা দূর করে।
- কিডনি সুস্থ রাখে এবং মলদ্বারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।
দেখেছেন বিচি কলা খাওয়ার কত উপকারিতা ? সত্যিই অবাক করার মত। তাই যদি অল্প
কোন কিছু খেয়ে অধিক লাভবান হতে চান তাহলে নিয়মিত খাবার তালিকায় বিচি কলা রাখতে
পারেন। এটি আপনার পেট ভরাবে পাশাপাশি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও সরবরাহ
করবে।
বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম
বিচি কলা খাওয়ার তেমন কোন আলাদা নিয়ম নেই। আমরা যখন তখন যেভাবে সেভাবে কলা
খেয়ে থাকি। এতে তেমন ক্ষতির কোন সম্ভাবনা থাকে না। কলা অতি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ
একটি ফল এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি খাওয়ার তেমন কোন
পার্শ্বপ্রতিকরাও দেখা দেয় না। তাই আমরা যখন তখন যেভাবে সেভাবে কলা খেলেও কোনরকম
সমস্যা হয় না।
তবুও অনেকেই কলা খাওয়ার কোন আলাদা নিয়ম আছে কিনা সেটি জানতে চান। তবে আপনি
বিভিন্নভাবে কলাটি খেতে পারেন। কলাটি খাবার কয়েকটি পদ্ধতি তাহলে বলে রাখি। কলা
খাওয়ার আগে প্রথমে আপনাকে কলাটি পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। কলা কাঁচা অবস্থায়
রান্না করেও খাওয়া যায়। পাকা কলা আপনি খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করেও খেতে
পারেন।
আরো পড়ুন : ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
এছাড়াও কলা রুটি সাথে খাওয়া যায়। রুটি দিয়ে কলা খেতে বেশ মজা লাগে।
তাছাড়া কলা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। বিশেষ করে বেলের শরবতের
সাথে কলা ব্লেন্ড করে খাওয়া যায়। এছাড়াও অন্যান্য খাবারের সাথে আপনি কলা খেতে
পারেন। কলা খেতে আলাদা তেমন কোন নিয়ম ফলো করতে হয় না।
গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খেলেও মিলবে অনেক উপকারিতা। ইতোমধ্যে উপরে দেখেছেন কলাতে
কি সব গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। এ পুষ্টি উপাদান গুলো একজন গর্ভবতী
মায়ের এবং গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই গর্ভ অবস্থায় যদি
নিয়মিত কলা খাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে অনেক লাভবান হতে পারবেন। গর্ভাবস্থায়
বিচি কলা খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হল।
- বিচি কলাতে ফলিক এসিড থাকে যা গর্ভাবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। এটি নবজাতকের মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ড গঠন কাজে বিশাল ভূমিকা পালন করে।
- বিচি কলাতে ফাইবার থাকে যা গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে দূরে রাখে।
- এ কলাতে ভিটামিন সি থাকে যা গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- এতে থাকা পটাশিয়াম গর্ভবতী মায়ের হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে।
- কলাতে থাকা আইরন গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করে। বিচি কলা তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।
- গর্ভবতী মায়ের জন্য বিচি কলা এনার্জি বুস্ট হিসেবে কাজ করে। যখন গর্ভবতী মা ক্লান্তি ও দুর্বলতাতে ভুগবে তখন কলা খেলে এ সমস্যার সমাধান হয়।
- গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব কমে।
তাহলে বুঝতে পারছেন গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কলা খেলে কি কি উপকারিতা গুলো পাওয়া
যাবে। এখন পর্যন্ত গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা
যায়নি। তবে খাওয়ার সময় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন ধরনের সমস্যা
হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সাগর কলাতে থাকা পুষ্টিগুণ সমূহ
আমাদের দেশে অনেক জাতের কলা পাওয়া যায়। তার মধ্যে সাগরকলা এবং বিচি কলা অন্যতম।
সাগরকলা অনেকের কাছে অনেক বেশি প্রিয়। এতক্ষণে আপনারা বিচি কলার পুষ্টিগুণ ও
উপকারিতা দেখলেন। সাগর কলা এর চাইতে কম কিসে। সাগর কলাও অনেক বেশি পুষ্টিগুণে
ভরপুর। তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নিই সাগরকলাতে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে।
- প্রোটিন
- ক্যালরি
- পটাশিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- আয়রন
- ভিটামিন বি৬
- কার্বোহাইড্রেট
- ডায়েটারি ফাইবার
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি।
তাহলে বুঝতে পারছেন বিচি কলা থেকে এর পুষ্টিগুণ কোনটাতেই কম নয়। এটিও অনেক বেশি
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। চলুন এবার তাহলে সাগর কলা খেলে আমরা কি কি উপকারিতা পেতে পারি
এক নজরে সেগুলো দেখে নিই।
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা
বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা তো দেখলেন। বিচি কলার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণও দেখেছেন।
সাগরকলা এর থেকে কম কিছু না। এর মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যা
আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সাগরকলা খুবই সুস্বাদু এবং আলাদা একটা স্বাদ
বিশিষ্ট। বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা দেখলাম চলুন এবার দেখে নিই সাগর কলা খাওয়ার
উপকারিতা গুলো।
- সাগর কলাতে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম ও আইরন থাকে যা আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- এ কালাতে পটাশিয়াম থাকে যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং কিডনির জন্য অনেক সহায়ক।
- সাগর কলা খাওয়ার ফলে দাঁড়িয়ে জনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
- নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
- এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- সাগর কলাতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও খনিজ পদার্থ আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন শক্তিশালী ও মজবুত করে তুলে।
- কলা খাওয়ার ফলে এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
- এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও সাগর কলা খাওয়ার ফলে আরো অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। আসলে
উপকারিতা গুলো দেখে অবাক হওয়ারই মত। তাই এই উপকারিতা গুলো যদি পেতে চান তাহলে
নিয়মিত সাগরকলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে অনেক বেশি লাভবান হতে পারেন।
কলার বিচি খেলে কি হয় বিচি কলার বিচি খেলে করনীয়
কলার বিচি খেলে কি হয় এ প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। আমাদের দেশে সাধারণত যে কলা
গুলো পাওয়া যায় তার বেশির ভাগেরই বিচি সেইভাবে থাকে না। আর থাকলেও সেটি বোঝা
যায় না বা সেটি পরিপক্ক হয় না যার কারণে আমরা কলার বিচি বুঝতে পারি না। তবে
কয়েকটি কলাতে বিচি থাকে। যেমন বিচি কলাতে বিচি থাকে বলেই এর নাম বিচি কলা।
এখন প্রশ্ন হলো কলার বিচি খেলে কি কোন সমস্যা হবে ? উত্তর হচ্ছে, না !! কোন
বিচি খেলে কোন ধরনের সমস্যা বা ক্ষতি হবে না। কলার বিচিও কিন্তু অনেক উপকারী।
কলাতে যেমন বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে কলার বিচিতেও কিন্তু তেমন কিছু কিছু
উপকারী উপাদান রয়েছে। কলার বিচিতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে।
আরো পড়ুন : মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
তাই যারা চিন্তাই ছিলেন যে কলার বিচি খেলে কোন ধরনের সমস্যা হবে কিনা তারা
নিশ্চিন্তে কলার বিচি সহ কলা খেতে পারেন। কলার বিচি খেলে আপনার ক্ষতি নয় উপকার
হবে। অনেকেই কলার বিচি ফেলে দিয়ে খান, তবে সেটা আপনার ইচ্ছা। আপনি এর উপকারিতা যদি পেতে চান তাহলে বিচি সহ কলা খেতে পারেন। এতে করে আরো বেশি উপকৃত হবেন।
সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
বিচি কলা ও সাগর কলা খাবার বিভিন্ন উপকারিতা ইতোমধ্যে আপনাদেরকে বলে ফেলেছি। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের যে কলা গুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে সবরিও একটি কলার জাতের নাম। এই কলাটি পাকলে খেতে কি যে মজা তা বোঝানোর মত নয়। সারা দেশে এ কলা অনেক চলে। সবরি কলার খোসা খুবই পাতলা। মুখে দিলেই একদম গলে যায়।
এ কলাটি দেখতেও অনেক সুন্দর মোটা এবং আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। সবরি পাকলে গাঢ় হলুদ
রং দেখতে কেমন জানি ভালো লাগে। অন্যান্য কলার মতো এটিও একটি জনপ্রিয়
কলা। আসলে কলা মানেই পুষ্টি উপাদান। ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত
কলা কমবেশি সবার কাছেই খুব প্রিয়।
সবরি কলার রয়েছে আলাদা একটি স্বাদ। অন্যান্য কলার মতো এটিও আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস জনিত সমস্যা দূর করে, মানসিক
স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
ইত্যাদি। তাহলে বুঝতে পারছেন কেউ কারো থেকে কম নয়। তাই নিয়মিত কলা খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলুন।
চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের দেশে যে কলা গুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে চাপা কলা, কলার আরেকটি জাত। এ
কলাটি সাইজে অত বড় হয় না কিন্তু কলার এক কাঁধিতে অনেকগুলো ধরে থাকে। একটি
ছড়িতে ২০ থেকে ৩০ টির মত কলা থাকে। কলাটি একটু চিকন এবং ছোট সাইজের। বিশেষ করে
ছোট বাচ্চাদের এই কলাটি বেশি খাওয়ানো হয়। চাপা কলা একদম চিনির মতো
মিষ্টি।
অন্যান্য কলার মত এ কলাও খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চাপা কলাতে চিনির পরিমাণ
প্রচুর থাকে যা আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে পারে। এছাড়াও চাপা কলা রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে,
এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করতে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
অনেক বেশি সহায়ক।
তাই আপনার পুষ্টিকর খাদ্যকা তালিকার মধ্যে চাপা কলা যুক্ত করতে পারেন। চাপা কলা
খুবই মিষ্টি এবং নরম। খেতেও বেশ মজা। ছোট বাচ্চারা চাপা কলা খেতে বেশি পছন্দ করে।
তাই ছোট বাচ্চাদের শরীরে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করতেও চাপা কলা খাওয়াতে পারেন। চাপা
কলাকে অনেকে দেশি কলা বা বাংলা কলাও বলে থাকে।
আটিয়া কলা খাওয়ার উপকারিতা
বিচি কালা সাগর কলা সহ আরো কয়েকটি কলার উপকারিতা জানলেন। এবার আমরা জানবো আটিয়া
কলা খাওয়ার উপকারিতা। আমাদের দেশের বিভিন্ন জাতের কলার মধ্যে এটি একটি কলার
জাত। এ কলাটি আকারে মাঝারি হয়ে থাকে এবং খোসা তুলনামূলক পুরু ও একটু শক্ত হয়ে
থাকে। কাঁচা থাকা অবস্থায় এর রঙ কিছুটা হলুদ লালচে গোলাপী। খেতে ক্রীমি ধরনের সহজে
মুখে গলে যায়।
অন্যান্য কলার মত আটিয়া কলা রয়েছে অনেক উপকারী দিক। আটিয়াকলা অত্যন্ত মিষ্টি
এবং সুগন্ধযুক্ত। আসলে কলা কেউ কারো থেকেই কম নয় প্রতিটিই অনেক বেশি পুষ্টিকর।
চলুন তাহলে এবার আমরা আটিয়া কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো এক নজরে ধাপে ধাপে দেখে
নেই।
- হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী করে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- শরীরের শক্তি সরবরাহ করে
- হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে
- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
- চুল এবং ত্বকের জন্য অনেক সহায়ক
কাঁচ কলার উপকারিতা বৈশিষ্ট্য ও খাওয়ার নিয়ম
কত ধরনের কলা নিয়েই এতক্ষণ আমরা জানলাম। কাঁচকলা তাহলে বাদ যাবে কেন তাই না।
কাঁচকলার সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। এটি আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায় কম
বেশি পাওয়া যায়। কাচ কলাকে অনেক জায়গায় আনাজি কলাও বলা হয়। কাঁচকলা সাধারণত
বেশিরভাগই কাঁচা অবস্থায় খাওয়া হয় যার কারণে এই কলার নাম দেয়া হয়েছে
কাঁচকলা।
কাঁচকলা আকারে তুলনামুলক অনেক বড়। খোসাও তুলনামূলক ভাবে অনেক পুরু। কাঁচা
অবস্থায় গাড় সবুজ এবং পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। কাঁচকলা আমরা তরকারি রান্না
করেই খাই। কাঁচা অবস্থায় কাঁচকলা খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। কাঁচকলার ভর্তা আমার
কাছে তো খুবই প্রিয় একটি খাবার। এরকম অনেকের কাছেই কাঁচকলার বিভিন্ন রেসিপি অনেক
জনপ্রিয়।
আরো পড়ুন : খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
অন্যান্য কলার মত কাঁচকলার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে কেউ যদি পাতলা
পায়খানা, পেট খারাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে কাঁচকলার ভর্তা করে খাবেন।
অল্প কিছু সময়ের মধ্যে শতভাগ নিশ্চিত এর উপকারিতা পাবেন। তাছাড়া কাঁচকলাতে
প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ইত্যাদি আরো অনেক পুষ্টিগুণ থাকে। অনেকে
কাঁচকলার খোসা ও ভর্তা করে খান।
কাঁচকলা পাকা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। তবে পাকলে এটি তুলনামূলক অন্যান্য করার
চাইতে একটু কম মিষ্টি। উপরে অন্যান্য কলার থাকা অবস্থায় যে উপকারিতা গুলো
দেখেছেন কাঁচ কলাও থাকা অবস্থায় খেলে সেরকম উপকারিতা পাবেন।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
বিচি কলা সাগর কলা সহ আমরা এতক্ষণে অনেকগুলো কলার উপকারিতা, বৈশিষ্ট্য ও করা
সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানলাম। কলা খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কেও
দেখলাম। অনেকেই প্রশ্ন করেন রাতে কলা খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। আমরা তো
কলা যখন তখন খেয়ে থাকি। চলুন তাহলে দেখে নিই কলা রাতের বেলা খেলে উপকার
পাওয়া যায়।
- রাতে কলা খাওয়ার প্রথম উপকারিতা হচ্ছে, এটি রাতে খাওয়ার ফলে ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।
- রাতের বেলা কলা খাওয়ার ফলে পরদিন সকালে পেট ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়।
- এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
- মাংস পেশীকে শিথিলকরণ করে এবং রাতে মাংসপেশির টান ও খিঁচুনি প্রতিরোধ করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- কলা কম ক্যালরিযুক্ত ফল হলেও পেট ভরিয়ে রাখে ফলে রাতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়।
এছাড়াও রাতে কলা খেলে আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তাই উপরে বর্ণিত উপকারিতা
গুলো যদি পেতে চান তাহলে রাতে কলা খেতে পারেন। ঘুম জনিত কোন সমস্যা হলে রাতে কলা
খেলে ভালো ঘুম পেতে পারেন।
খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
অনেকেই জানতে চান খালি পেটে কলা খেলে কি হয়। যদিও কলা খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ
একটি ফল তবুও এটি খাওয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে আমাদের জেনে থাকা দরকার। খালি
পেটে কলা খেলে এর কিছু উপকারিতা রয়েছে আবার কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
রয়েছে। খালি পেটে কলা খেলে কি কি উপকারিতা এবং কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিচে
দেয়া হল।
খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে কলা খেলে এটি আমাদের শরীরের দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে যা সারাদিন আমাদের শরীরকে চাঙ্গা করে রাখে।
- কলাতে থাকা ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং খালি পেটে খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- কলাতে যে উপাদান গুলো থাকে খালি পেটে খাওয়ার ফলে তা সহজেই আমাদের শরীর শোষণ করতে পারে।
খালি পেটে কলা খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- খালি পেটে কলা খেলে এসিডিটি সমস্যা হতে পারে। কলাতে থাকা শর্করা এসিডিটি বাড়াতে পারে।
- কলা খালি পেটে খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির।
- কলাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে যা খালি পেটে খাওয়ার ফলে এদের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
কলা খাওয়া নিয়ে আমরা এতক্ষণে অনেক বকবক করলাম। রাতে কলা খাওয়ার নিয়ম খালি
পেটে কলা খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি অনেক কিছু জানলাম। এখন আমরা আসল জিনিস জানব যে,
কলা খাওয়ার আসলে সঠিক সময় কোনটি। কোন সময়টিতে কলা খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া
যাবে। কোন সময় কলা খেলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কম হবে।
হ্যাঁ, আমরা এখন এই বিষয়গুলো সম্পর্কেই জানব। কলা খাওয়ার সঠিক সময় নির্ভর করে
আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার বিশেষ পুষ্টিগত চাহিদার উপর। যেমন কলা সকালে নাস্তার
সাথে খাওয়া অনেক বেশি উপকারী। এ সময় আপনি যদি কলা খান তাহলে এটি আপনার শরীরের
পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি সরবরাহ করবে এবং সারাদিন আপনাকে চাঙ্গা রাখবে।
এরপর আপনি কলা ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে খেতে পারেন। ও আর ওয়ার্ক আউট এর সময়
আমাদের অনেক শক্তি ব্যয় হয়। তাই আপনি যদি ওয়ার্ক আউট এর আগে বা পরে কলা খান
তাহলে আপনার শরীরে পুনরায় শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনি কলা
দুপুরবেলা খেতে পারেন এতে করে আপনি অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে
পারবেন।
আপনি কলা রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে খালি পেটেও খেতে পারেন। তবে সকালে খালি পেটে
খাওয়ার সময় সাথে অন্য কোন কিছু খাওয়া ভালো। রাতে কলা খেলে এটি ভালো ঘুম এবং
সকালে খালি পেটে কলা খেলে আপনাকে সারাদিন চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে। তাহলে
বুঝতেই পারছেন কলা কখন খেলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়।
তাই আপনি আপনার প্রয়োজন ও চাহিদা মত কলা খাওয়ার জন্য সঠিক সময়টি নির্বাচন করতে
পারেন। এতে করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিচি কলা খাওয়ার অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা আমরা এতক্ষণে দেখলাম। কলা অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় একটি ফল। এটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা বুঝতেই পারছেন। কিন্তু প্রতিটা জিনিসেরই উপকার থাকার পাশাপাশি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকাটাই স্বাভাবিক। কলা খাওয়ার তেমন বড় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না। তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু সমস্যা হতে পারে।
এই সমস্যা গুলো হওয়ার সম্ভাবনা তখনই থাকবে যখন আমরা মাত্রাতিরিক্ত কলা খাব। চলুন তাহলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো দেখে নেয়া যাক।- কারো কারো ক্ষেত্রে গ্যাস বা পেট ফাঁপা জনিত সমস্যা হতে পারে
- অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে
- বিচি কলাতে বিচি থাকে যা অনেকে হজম করতে পারে না ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- বিচি কলাতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- কিছু কিছু মানুষের কলা খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- বিচি কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এদের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে।
- বিচি কলাতে বিচি থাকার কারণে অনেকের কাছে এ কলা খাওয়া বিরক্তিকর হতে পারে।
আপনি এই সমস্যাগুলো সম্মুখীন তখনই হবেন যখন আপনি অতিরিক্ত কলা খাবেন। তাই এই সমস্যাগুলো সম্মুখীন না হয়ে উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে চাইলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খাবেন এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
কলা খেলে কি ওজন বাড়ে
বর্তমানে আমাদের দেশে ওজন ভাড়া নিয়ে অনেক মানুষই অনেক সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই
প্রশ্ন করে থাকেন কলা খেলে ওজন বাড়ে কিনা ? আসলে কলা খেলে ওজন বাড়বে কিনা তা
নির্ভর করবে আপনি কতটুকু এবং কিভাবে খাচ্ছেন তার ওপর। সাধারণত কলা খেলে ওজন বাড়ে
না। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে। চলুন দেখে নিই কলা খাওয়ার ফলে
ওজন বাড়া ও না বাড়ার কারণ।
কলা খেলে ওজন না বাড়ার কারণ
- একটি মাঝারি মাপের কলাতে সাধারণত ১০০ থেকে ১২০ ক্যালোরি থাকে। যা পরিমাণে খুব বেশি নয়। তাই ওজন বাড়ার ও সম্ভাবনা থাকে না।
- কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেট দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখে ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এর জন্য ওজন বাড়ে না।
- কলাতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা শরীরের দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে এবং কম ক্যালরি গ্রহণ করতে সহায়তা করে হলে সহজে ওজন বাড়ে না।
কলা খেলে ওজন বাড়ার কারণ
- কলাতে কম ক্যালরি থাকার সত্বেও আপনি যখন অতিরিক্ত কলা খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাবেন তখন আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
- আপনি কলার সাথে যখন অন্যান্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন- চিনি, মধু ইত্যাদি যুক্ত করে খাবেন তখন আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
- অপ্রয়োজনীয় সময়ে যেমন রাতের বেলা খাবার খাওয়ার পরে যদি আপনি অতিরিক্ত কলা খান তাহলে এটি শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করতে পারে। ফলে ওজন বাড়তে পারে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন কলা খেলে ওজন বাড়া না বাড়া সম্পূর্ণ এটি গ্রহণ করার উপর
নির্ভর করবে। আপনি যদি পরিমাণ মতো নির্দিষ্ট সময়ে কলা খান তাহলে ওজন বাড়বে না।
কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খান এবং পাশাপাশি অন্যান্য ক্যালোরিযুক্ত খাবার ও খান
তাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিশেষে - বিচি কলা ও সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আশা করি পোস্টটি ভালভাবে পড়েছেন এবং বিচি কলার ও সাগর কলা খাওয়ার
উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম সহ আরো বিভিন্ন কলা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন এবং উপকৃত
হয়েছেন। কলা খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ আমাদের
শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে নিয়মিত খাদ্য
তালিকায় কলা যোগ করতে পারেন।
কলা খাওয়ার আগে অবশ্যই এর সতর্কতা এবং প্রতিক্রিয়ার দিকে ও নজর রাখবেন।
একসাথে অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আশা করি পোস্টটি পড়ার পর আপনার
যেরকম চাহিদা সে অনুযায়ী কলা খেয়ে কাঙ্খিত উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন। আপনার
সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ 😍
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url