ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া ও ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম

ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া ও ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে  এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া ও ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম সহ যাবতীয় সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ইয়া-ওয়াদুদ-কিসের-দোয়া-ও-ইয়া-ওয়াদুদু-পড়ার-নিয়ম

এছাড়াও এ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ইয়া ওয়াদুদু নামের অর্থ ও ফজিলত কি সেটা জানতে পারবেন। এবং ইয়া ওয়াদুদু নামের ব্যাখ্যাও জানতে পারবেন এই পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে। তাই সব কিছু ভালোভাবে জানার জন্য পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

সূচিপত্র - ইয়া ওয়াদুদ কিসের দোয়া ও ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম

ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া

ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহ তায়ালার ৯৯ টি গুণবাচক নামের একটি। যার অর্থ মহব্বতকারী বা ভালোবাসাময়। আল্লাহ তায়ালার এই নাম দ্বারা বোঝায় তিনি তার সৃষ্টিকে কতটা ভালোবাসেন ও মমতা করেন। ইয়া ওয়াদুদু দোয়া হিসেবে ব্যবহার করলে এর অর্থ হতে পারে, ”হে ভালোবাসাময় আল্লাহ”। ইয়া ওয়াদুদু দোয়া দ্বারা মানুষ আল্লাহ তাআলার অপার করুণা ও সাহায্য প্রার্থনা করে।

আরো পড়ুন : পালং শাকে কি এলার্জি আছে, পালং শাকের উপকারিতা অপকারিতা

এই দোয়াটি মূলত বিভিন্ন সংকটময় বা কঠিন পরিস্থিতিতে আল্লাহর কাছ থেকে শান্তি, ভালোবাসা এবং সাহায্য প্রার্থনা করার জন্য পড়া হয়। যেকোনো ধরনের মানসিক কষ্ট, সম্পর্কের সমস্যার সমাধান এবং অন্তরের প্রশান্তির জন্য এই দোয়াটি প্রয়োজনীয় দোয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ মানুষ যেকোনো সম্পর্কের মনোমালিন্য দূর করতে এই দোয়াটি পড়ে থাকে।

ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম

”ইয়া ওয়াদুদু” পড়ার নিয়ম সহজ অন্যান্য দোয়া বা জিকিরের মতই। আসমাউল হুসনা বা আল্লাহ তায়ালার ৯৯ টি গুণবাচক নামের মধ্যে এটি একটি। এই নামের অর্থ ”অত্যন্ত প্রেমময়” বা ”সবচেয়ে ভালোবাসাপূর্ণ”। এটি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ ও ভালোবাসা লাভ করা যায়। এখন ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন : মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম | মধুময় বাদাম তৈরির উপাদান ও পদ্ধতি

ইয়া ওয়াদুদু ছোট ও সুন্দর একটি দোয়া। এটি পাঠ করার তেমন কোনো বিশেষ নিয়ম নেই। তবে অন্যান্য যে কোন দোয়া ও জিকির করার মত এই দোয়া পাঠ করার আগেও পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এবং একটি সঠিক নিয়ত করে নিতে হবে। যেমন আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন, মানুষের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি, পারিবারিক বা দাম্পত্য জীবনের সমস্যার সমাধানের জন্য নিয়ত করে এই দোয়াটি পড়া হয়।

ইয়া ওয়াদুদু দোয়াটি সাধারণত ৩৩ বার বা ১০০ বার পাঠ করা হয়। আপনি চাইলে আরো বেশি পড়তে পারেন। যেকোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ৪১ দিন ধরে ১০০০ বার করে এই আমলটি অনেকেই করে থাকে। এই দোয়াটি পাঠ করার সময় একাগ্রতার সহিত পাঠ করা উচিত এজন্য অর্থের দিকে মনোনিবেশ করা যেতে পারে। এই দোয়া যে কোন সময় পড়া যায় তবে ফজর বা এশার পরে পড়া উত্তম।

ইয়া ওয়াদুদু পড়ার ফজিলত

আল্লাহ তাআলার ৯৯ গুনবাচক নামের প্রত্যেকটিরই বিশেষ ফজিলত রয়েছে। সেগুলো পাঠ করলে আল্লাহ সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা অর্জন করার পাশাপাশি যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। একজন মুসলিম হিসেবে এ বিষয়গুলো যথাযথভাবে জানা আমাদের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। আল্লাহতালার গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে ”ইয়া ওয়াদুদু” নামটির ফজিলত সম্পর্কে এখন জানব।

আরো পড়ুন : হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে - হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক

প্রথমত আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা, সন্তুষ্টি অর্জন ও ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য এই আমলটি করা যায়। যারা নিয়মিত এই আমলটি করেন তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা ভালোবাসা ও রহমত দান করেন। এই আমল করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রিয় এবং স্নেহশীল হওয়া যাই। এছাড়া ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য ইয়া ওয়াদুদু এর ফজিলত অপরসীম।

সাধারণত দাম্পত্য কলহ ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই আমলটি প্রসিদ্ধ। যদি কেউ দাম্পত্য সমস্যার মধ্যে থাকে তাহলে ইয়া ওয়াদুদু এর আমলটি সে সম্পর্ক পুনস্থাপনে সহায়তা করে। পারিবারিক বা দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তি বজায় রাখতে খুবই ফজিলতপূর্ণ। যারা মানসিক কষ্ট বা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা নিয়মিত এর আমলটি করতে পারেন। এটি আপনার অন্তরে শান্তি ও মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করবে।

ইয়া-ওয়াদুদ-কিসের-দোয়া-ও-ইয়া-ওয়াদুদু-পড়ার-নিয়ম

যদি কেউ ইয়া ওয়াদুদু এর বিশেষ ফজিলত পেতে চান তাহলে প্রতিদিন ফজর পর ১০০ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করবেন। এতে আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন এবং আপনার ইচ্ছে পূরণ করবেন। এছাড়াও কোন বিশেষ প্রয়োজন বা সমস্যার সমাধানের জন্য এই দোয়াটি ৪০ দিন ধরে আমল করলে আল্লাহ সাহায্য পাওয়া যায়। সর্বোপরি এটি দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে সহায়ক।

ইয়া ওয়াদুদু এর আমল

ইয়া ওয়াদুদু এর আমল সম্পর্কে উপরে একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার সুন্দর গুণবাচক নাম বা আসমাউল হুসনার প্রত্যেকটিরই নির্দিষ্ট আমল ও ফজিলত রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন আমল করে থাকি। এর মধ্যে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল প্রসিদ্ধ। নিচে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

মানুষের ভালোবাসা লাভের জন্য

মানুষের ভালোবাসা লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প কিছু নেই। আপনি যদি কাউকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসেন তাহলে তার ভালোবাসা অর্জন করার জন্য দোয়া করতে পারেন। এজন্য আপনি ইয়া ওয়াদুদু এর আমলটি প্রতিদিন ৪১ বার করে ১১  দিন ধরে আমল করতে পারেন। এতে করে যার জন্য আপনি গভীর ভালোবাসা অনুভব করেন তার হৃদয়েও আল্লাহর রহমতে আপনার জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি হবে।

আরো পড়ুন : পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক - খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে কি হয়

দাম্পত্য জীবন বা সম্পর্ক মজবুত করতে

দাম্পত্য জীবন বা সম্পর্ক মজবুত করতে প্রতিদিন ফজর নামাজ পড় ১০০ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করুন। এই আমল করার ফলে আল্লাহ তাআলা পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দিবেন এবং কোলহ দূর করে দেবেন। এছাড়াও প্রতিদিন ফজর এবং এশার পর ১০০ বার ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে মানসিক চাপ কমে এবং অন্তরের শান্তি আসে।

কলহ বা অসন্তোষ দূর করতে

যেকোনো সম্পর্কের মধ্যে কোলাহ বা মনোমালিন্য দূর করতে ইয়া ওয়াদুদু এর আমলটি করতে পারেন। প্রতিদিন ৩০০ বার করে ৩ দিন এই আমলটি করলে পারস্পরিক বিরোধ ও মনোমালিন্য দূর হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও আপনি চাইলে ৭ দিন ধরে এই আমলটি করতে পারেন। এটি অন্তরকে কোমল করে এবং সম্পর্কের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনে।

আরো পড়ুন : কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে - কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক

এছাড়াও যে কোন দোয়া কবুল করার জন্য আপনি ইয়া ওয়াদুদু এর আমলটি করতে পারেন। সন্তানের কল্যাণ কামনা করতেও ইয়া ওয়াদুদু এর আমলটি করা যায়। পবিত্র অবস্থায় বিশ্বাসের সাথে আমল করবেন এবং আল্লাহর রহমতের জন্য অপেক্ষা করবেন। এভাবে আপনি নিজের ইচ্ছা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী আল্লাহর কাছে যেকোনো দোয়া করতে পারেন।

ইয়া ওয়াদুদু নামের অর্থ ও ব্যাখ্যা

ইয়া ওয়াদুদু দোয়াটি আমল করার আগে এর অর্থ ও ব্যাখ্যা জানা জরুরী। কেননা আমরা সচরাচর অনেক আমল করে থাকি কিন্তু সেগুলোর সঠিক অর্থ বা ফজিলত সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখি না। যেকোনো দোয়া বা জিকির মনোযোগের সাথে করার জন্য এর অর্থ জানা জরুরী। যদি অর্থ জানা থাকে তাহলে একাগ্রতার সাথে যে কোন আমল করা যায়।

ইয়া ওয়াদুদু নামটি আল্লাহর একটি বিশেষ গুণবাচক নাম এটা ইতিমধ্যে জেনেছেন। ইয়া ওয়াদুদু নামের শাব্দিক অর্থ বলতে গেলে ইয়া শব্দের অর্থ ওহে বা হে, যেটা কাউকে ডাকার সময় ব্যবহার করা হয়। আর ওয়াদুদু আল্লাহর একটি সুন্দর নাম যার অর্থ অত্যন্ত স্নেহশীল, ভালোবাসাময়, প্রেমময়, মমত্তবোধ ইত্যাদি। অর্থাৎ ইয়া ওয়াদুদু অর্থ হলো হে অত্যন্ত প্রেমময় বা হে অতি স্নেহশীল।

আল্লাহতালার গুণবাচক এই নামটি তার বান্দাদের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং স্নেহশীলতা নির্দেশ করে। এ নামটি দ্বারা বোঝায় আল্লাহ তায়ালা তার সব সৃষ্টিকে ভালোবাসেন এবং দয়া করেন। এ নাম ধরে আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহর দয়া ও প্রেমময় গুণগুলো বোঝানো হয়। আল্লাহর ভালোবাসা ও দয়া প্রার্থনা করতে আল্লাহকে ইয়া ওয়াদুদু নামে ডাকা হয়।

ইয়া ওয়াদুদু নামের ফজিলত

ইয়া ওয়াদুদু নামের ফজিলত সম্পর্কে উপরে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। আল্লাহ তালার ৯৯ টি সুন্দর গুনবাচক নাম রয়েছে যেগুলো পাঠ করে আমরা দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব হতে পারি। আল্লাহ তাআলার প্রত্যেকটি নামের মধ্যেই তার মহত্ত্ব ও বড়ত্ব এবং শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পায়। একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের আল্লাহ তাআলার ৯৯ টি নাম সম্পর্কে জানা দরকার।

ইয়া ওয়াদুদু আল্লাহ তায়ালার একটি গুণবাচক নাম। এই নামের বহু ফজিলত রয়েছে। প্রথমত আল্লাহতালার যে কোন  গুণবাচক নামের মত ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলেও আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও রহমত আসে এবং অন্তরে ও শান্তি অনুভব করা যায়। এ জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় এবং যে কোন প্রার্থনার জন্য এই জিকির খুবই কার্যকর।

স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার মনোমালিন্য বা যেকোনো সম্পর্ক মজবুত করতে এ জিকিরের গুরুত্ব অপরিসীম। যে কোন রকম শত্রুতা বা পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর করার জন্য এই জিকির আমল করা হয়। এছাড়াও জীবনের কঠিন মুহূর্ত বা দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল টি করে ক্ষমা ও শান্তি অর্জন করা যায়।

স্বামী স্ত্রীর মিল মহব্বতে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল

স্বামী স্ত্রীর মিল মহব্বতে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হওয়া খুবই সাধারণ তবে এটি অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলে অনেকেই এর থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন আমল বা দোয়া খোঁজেন। তাদের জন্য ইয়া ওয়াদুদু এর আমল টি সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা যায়। এবারে আমল করার নিয়ম জেনে নিন।

যেকোনো আমল করার পূর্বে আপনি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন হবে এবং আমলটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আর নিজের এখলাস বা নিয়তটা সহিহ রাখবেন। অর্থাৎ নিয়তটা এরকম হবে যে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য পারস্পরিক মিল মহব্বত বৃদ্ধির আশায় আমল করছেন।

প্রতিদিন ১০০ বার বা ৩১৩ বার ”ইয়া ওয়াদুদু” বলে জিকির করুন। এটা যে কোন সময় করা যেতে পারে তবে অবশ্যই বিশুদ্ধ অন্তরে একাগ্রতার সহিত করবেন। জিকির করা শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তায়ালা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা এবং সম্মান বাড়িয়ে দেন। ফজর নামাজ বা এশার নামাজ পর এ আমলটি করতে পারেন।

স্বামী-স্ত্রীর মিল মহব্বতে ইয়া ওয়াদুদু এর আমল টি করে জলখাবারে ফু দিয়েও খাওয়া যায়। এজন্য আপনাকে প্রথমে ইয়া ওয়াদুদু জিকিরটি ১০০০ বার করে খাদ্যের ওপর ফু দিয়ে স্বামী-স্ত্রী একসাথে বসে খেতে হবে। অথবা ইয়া ওয়াদুদু জিকিরটি আমল করে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি স্বামী বা স্ত্রীকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।এতে করেও নিজেদের মধ্যেকার ঝামেলা দূর হয়ে ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।

ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে কি হয়

ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে কি হয় সে সম্পর্কে ইতিমধ্যেজেনে গেছেন। আপনারা এটাও জেনেছেন যে ইয়া ওয়াদুদু শব্দের অর্থ অত্যন্ত প্রেমময়, অতি স্নেহশীল। নামের অর্থ দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি কতটা ফজিলত পূর্ণ। ইয়া ওয়াদুদু এর আমল কিভাবে করবেন এবং এর ফজিলত কি তা এক নজরে নিচে আবারো দেখে নিন।

  • ইয়া ওয়াদুদু নামটি পাঠ করলে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যায় এবং অন্তরে এক বিশেষ শান্তি অনুভব হয়
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করলে মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়
  • এই জিকিরটি নিয়মিত আমল করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়
  • এই জিকির আমল করলে যে কোন কষ্ট ও বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
  • এই দোয়া দ্বারা বন্ধুত্বের সম্পর্ক উন্নত করা যায়
  •  নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করলে অবাধ্য সন্তান বাধ্য হয়
  • ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে পারস্পরিক কলহ বিদ্বেষ দূর করা যায়
  • ইয়া ওয়াদুদু আমল করে স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য দূর করা যায়
  • এই দোয়াটি পাঠ করে প্রিয় মানুষের ভালবাসা অর্জন করা যায়।

ইয়া ওয়াদুদু পাঠ করে উপরোক্ত সমস্যা গুলো থেকে রেহাই পেতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

উপসংহার-ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া ও ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়েছেন। ইয়া ওয়াদুদু কিসের দোয়া ও ইয়া ওয়াদুদু পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। এবং ইয়া ওয়াদুদু এর আমল এবং ফজিলত সম্পর্কেও জেনেছেন। এছাড়াও স্বামী স্ত্রীর মিল মহব্বতের জন্য ইয়া ওয়াদুদু এর আমল কিভাবে করবেন সে সম্পর্কেও জেনেছেন।

আপনি যদি কোন অশান্তিতে থাকেন তাহলে অবশ্যই ইয়া ওয়াদুদু এর আমল টি করে দেখবেন। তবে মনে রাখবেন আপনার নিয়তটাই সবচেয়ে জরুরী। আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রেখে এ আমলটি করে অসংখ্য ফজিলত গ্রহণ করতে পারবেন। আশা করি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আজকে এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ😍

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url